Friday, February 3, 2017

একটি স্ল্যাব ঢালাই এর পূর্ব প্রস্তুতি বিষয়ে করণীয়

একটি স্ল্যাব ঢালাই এর পূর্ব প্রস্তুতি বিষয়ে করণীয় 


1. ম্যানুয়েল পদ্ধতি হলে মিক্সার
মেশিন ও ভাইব্রেটর মেশিন প্রস্তুত
করে রাখতে হবে।ডাবল সেট রাখায়
ভালো কোন সমস্যা হলে ঢালাই বন্ধ
থাকবে না।প্রয়োজনীয় তেল, মোবিল
স্টক রাখতে হবে।

2.ঢালাই এর পরিমাণ অনুসারে পাথর,
বালি, সিমেন্ট, পানি সবই স্টক সম্পূর্ণ
করতে হবে।প্রয়োজনের কিছু বেশি
রাখা ভালো।

3.ছাদের ওটার জন্য সিঁড়ি তৈরি
করে রাখতে হবে।

4.রড়, ইলেকট্রিক পাইপ , সেনেটারি
লাইনের পয়েন্ট এ ছাড়া অন্য সার্ভিস
থেকে থাকলে চেক করে নিতে হবে
ডিজাইন অনুযায়ী আছে কিনা। ত্রুটি
থাকলে সারিয়ে নিতে হবে। কাজ
চলাকালীন সময়ে তদারকি করতে হবে
যাতে বড় কোন ভূল না হয়।

5.সাটারিং প্রপ্স খুবই গুরুত্ব পূর্ণ
প্রতিটি প্রপ্স ভালো করে চেক করে
নিতে হবে কোন দূর্বলতা আছে
কিনা।যদি মাঝে কোন প্রপ্স দূর্বল
থাকে ঢালাই সময় ঝাকুনিতে ফেল
করতে পারে।প্রপ্সসের নিচে কাটের
টুকরো ব্যবহার করতে হবে সঠিক
জায়গায়।কোন অবস্থায় সাটারিং এ
কোন লিক্ যাতে না থাকে। বীম ও
ছাদ ফোম দিয়ে লিক্ প্রুফ করে নিতে
হবে পানি বের না হওয়া মতো।

6.লেভেলিং খুব গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়
ডিজাইন অনুসারে লেভেল ঠিক করে
নিতে হবে।

7. প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবেলা
করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যেমন
পলেথিন, তেরফল ইত্যাদি মজুত
রাখতে হবে।

8.প্রয়োজনীয় লোকবল আগে থেকে
ঠিক করে রাখতে হবে।

9. যদি ঢালাই করতে রাত হয় সেজন্য
প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক লাইনের
ব্যবস্থা করে নিতে হবে।

10.ঢালাই এর দুই দিন আগে চেক করে
সমস্তু ত্রুটি সারিয়ে পরের দিন
কর্তৃপক্ষের চেকিং রাখতে হবে।

11. ঢালাই ভোরে শুরু করা সবচেয়ে
ভালো।

12.ঢালাই চলাকালীন সময়ে লেভেল
অনুসারে পায়া করে নিতে হবে।

13. ঢালাই চালাকালীন সময়ে
ইলেকট্রনিক পাইপ ও অন্যান্য সার্ভিস
স্হানে যাতে থাকে সেই বিষয়ে
সতর্ক থাকতে হবে।

14.ঢালাই চালাকালিন সময়ে
ভাইব্রেশন খুব গুরুত্ব পূর্ণ। সঠিক নিয়মে
নিয়মিত ভাইব্রেশন করতে হবে
বিশেষ করে বীমের ক্ষেত্রে সতর্ক
থাকতে হয়।

15. যে অংশে ঢালাই হবে বীম আগে
করে ছাদের পায়া করতে হয়।

16 .যে অংশে পূবে ঢালাই হয়ে যায়
সে অংশ অধিক তাপমাত্রা জনিত
কারনে হেয়ার ক্র্যাক দেখা দিতে
পারে। তাই প্রাথমিক সিটিং এরপর
কভার করে রাখা ভালো।

17.ঢালাই চলাকালীন প্রপ্স চেক করার
লোক থাকতে হবে।

18.কংক্রিটের গুনাগত মান ও রেশিও
সঠিক নিয়মে হচ্ছে কিনা নিয়মিত
চেক করতে হবে।

19.স্লাম্প টেস্ট ও সিলিন্ডারের
নিয়ে রাখতে হয় প্রয়োজনীয়
অনুযায়ী।

20.পাথর পানি দিয়ে ভিজিয়ে
পরিষ্কার করে নিতে হবে।

21. কংক্রিট তিন হতে চার ফুট বেশি
উচু হতে ফেলা উচিত না। ধীরে
ধীরে ঢালতে হবে। অন্যথায়
সেগ্রিগেশন হয়ে কংক্রিট দূর্বল হয়ে
যাবে। এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

আরো জানার জন্য 

No comments:

Post a Comment